দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪০০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৮ হাজার ৪৮৯ জনে।
আজ বুধবার (১৭জুন)দুপুরে করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
ভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ বুধবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৫ জন।
অজানা এই ভাইরাসের পরিসংখ্যান সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র অনুযায়ী ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে এই মহামারী।
চীনের উহান শহর থেকে প্রাদুর্ভাব শুরু করোনার। এরপর ইউরোপে তাণ্ডব চালায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনার আক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২২ লাখ ৮ হাজার ৪০০ জন।আক্রান্ত তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারে কাছে নেই কোনো দেশ।
আক্রান্তর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৪।
করোনা রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যেকে টপকে চার নম্বরে চলে আসা ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৪ হাজার ১৬১ জন।
বাংলাদেশেও প্রতিদিনই আক্রান্তর সংখ্যার রেকর্ড ভাঙছে। গতকাল আরও ৩ হাজার ৮৬২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে।
করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন